দুই মহিলার পাশে দাঁড়ালেন তৃণমূল নেতা

14th January 2020 মালদা
দুই মহিলার পাশে দাঁড়ালেন তৃণমূল নেতা


 মূক ও বধির দুই প্রতিবন্ধী মহিলার পাশে দাঁড়ালেন মালদা জেলার যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি বুলবুল খান।খবর পেতেই মঙ্গলবার সকালে দুই প্রতিবন্ধী মহিলার বাড়িতে পৌঁছে যান বুলবুল খান। এদিন তাদের হাতে তুলে দেন চাল,ডাল, কাপড় ও কিছু আর্থিক সাহায্যের পাশাপাশি সরকারি সব রকমের সাহায্য, মানবিক ভাতা ও বাড়ি করে দেওয়ার আশ্বাসও দেন।

 জানা যায়, দীর্ঘ ৫০ বছর পার হয়ে গেলেও একই পরিবারের দুই প্রতিবন্ধী বোনের ভাগ্যে জুটেনি প্রতিবন্ধী ভাতা ও সরকারি সাহায্য। তারা হরিশ্চন্দ্রপুরের কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের বহর গ্রামের মৃত কিসমত আলির দুই মেয়ে মহরমি খাতুন (৫৫) ও রাহাতন খাতুন (৫০)। তারা জন্ম থেকেই বোবা ও বধির। তাদের দেখাশোনা করার জন্য আপন বলতে জামাই শেমিম আলি ও তার স্ত্রী সায়েদা বিবি ছাড়া কেউ নেই। এই দুই বৃদ্ধা প্রতিদিন খাবারের সন্ধানে ছুটতে থাকেন ভিক্ষাবৃত্তি করতে। বয়সের ভারে ন্যুয়ে পড়লেও তাদের কপালে এখনো জোটেনি প্রতিবন্ধী ভাতা ও সরকারি সহায়তা। 

তাদের সাথে কথা বলার পর ঘুরেফিরে একটি প্রশ্নই উঁকি দিচ্ছে  প্রতিবন্ধী ভাতা পেতে কত বছর লাগে? ওদের প্রতিদিন দেখা যায় হরিশ্চন্দ্রপুরের বিভিন্ন গ্রামে লাঠিতে ভর দিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি করতে। বোবা বাঁকপ্রতিবন্ধী দুই বোনের চোখের কান্না বুঝিয়ে দেয় তারা কতটা অসহায়। ইশারা-ইঙ্গিত দিয়ে বুঝিয়ে দিল সরকারি সাহায্য ও প্রতিবন্ধী ভাতা চান 
তারা। 

প্রতিবন্ধী ভাতা কেন পাননি জানতে চাইলে তাদের এক নিকট আত্মীয় সায়েদা বিবি বলেন, পঞ্চায়েত মেম্বার, প্রধান ও বিডিও কেউ কিছু দিয়ে সাহায্য করেনি।ভাতার জন্য অনেকবার ঘুরাঘুরি করেছি কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। শুধু প্রতিবন্ধী ভাতা নয় সরকারি সাহায্যের কিছুই পৌঁছায়নি তার ঘরে। এমন পরিস্থিতিতে দুই পিসিকে নিয়ে  অভাবের সংসারে অনেকটা অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটে । দু’বেলা দু’মুঠো খেয়ে বেঁচে থাকার জন্য তারা প্রতিবন্ধী ভাতা চান। 

দুই প্রতিবন্ধী বোনের বাবা কিসমত আলি ৪৫ বছর আগেই মারা গেছে। তাদের দেখাশোনা করত তাদের একমাত্র ভাই মহবুল হক।সেও মারা গেছে ৩০ বছর আগে। তাদের দেখাশোনা করার জন্য মহবুল হকের  মেয়ে সায়েদা বিবি ও তার স্বামী সেমিম আলিকে নিয়ে বাবার বাড়িতেই সংসার করছে। দুই ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে তাঁরাও হিমসিম খাচ্ছে। তাই তারা তাদের দেখাশোনা করতে পারে না। ছোট্ট একটি ভাঙাচোরা রান্না ঘরে তাদের বসবাস।

কুশিদা জিপির প্রধান আক্তারি খাতুন জানান, তাদের প্রতিবন্ধী ভাতা জন্য বিডিও অনির্বাণ বসুকে জানিয়েছি।আশা করি শিঘ্রই ভাতা শুরু হয়ে যাবে।

হরিশ্চন্দ্রপুর-১নং ব্লকের বিডিও অনির্বাণ বসু জানান, তারা কাগজপত্র জমা করেছে।যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ভাতা চালু করে দেওয়ার আশ্বাস দেন।





Others News